January 13, 2025, 11:41 am

সংবাদ শিরোনাম

জাজিরায় হত্যার দায়ে ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ-  জাজিরা থানার সামাদ মাদবরকে কুপিয়ে হত্যা

মামলায় ১২জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা ও
দায়রা জজ আদালত।
সোমবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এ শরীয়তপুরের সিনিয়র জেলা
ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান এই রায় দেন। রায়ের
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এড.
মীর্জা হজরত আলী। এতে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আসামী পক্ষ
্ধসঢ়;ও রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আদালত সূত্র ও মামলার বিবরনে জানা যায়, জাজিরা উপজেলার খোড়াতলা
সাকিনের আঃ সামাদ মাদবর ও একই উপজেলার আজিজুল মাদবরদের সাথে
জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসে। এ সংক্রান্তে উভয়ের
মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর রাত অনুমান সাড়ে
৭ টায় জাজিরা উপজেলার খোড়াতলা সাকিনের আঃ সামাদ মাদবর ও তার
ছেলে শাহ জালাল মাদবর সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার
পথে খোড়াতলা সাকিনের কিতাব আলী মাদবর এর পতিত জমিতে
পৌছিলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জানায় প্রতিপক্ষ আজিজুল মাদবর
ও তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র রামদা, ছেনদা সহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র
নিয়ে সামাদ মাদবরদেরকে পথরোধ করে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত
জখম করে। এ সময় তার সাথে থাকা ছেলে শাহ জালাল তাকে রক্ষা করতে
এগিয়ে গেলে বাপের রক্ত দেখে ভয়েদৌড়ে পালিয়ে গিয়ে কিছু দুর পর
জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। এ সময় সামাদ মাদবরের আতœচিৎকার শুনে আশে
পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়
লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে সামাদ মাদবর মারা যায়।
এ ঘটনায় সামাদ মাদবরের ছেলে শাহ জালাল বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী
করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এ
মামলাটি সিআইড তদন্ত করে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
দাখিল করে। মামলার ১১ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে সোমবার
শরীয়তপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর
রহমান মামলার আসামী আজিজুল মাদবর, রফিক মাদবর, লিটন মাদবর,
মান্নান মাদবর, আঃ আলীম মাদবর, মফিজ মৃধা, তারন ফরাজি, নুরুল হক

মাদবর, জুলহাস মাদবর, আলা উদ্দিন ফকির, আঃ বারেক মাদবর, মনির মাদবর
দেরকে প্যানাল কোড ৩০২ ধরায় সন্দেহাতীত ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে
যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে
আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। এ মামলায় আসামী
পক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র এড. মোঃ শাহ আলম। সরকার পক্ষে
মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারী কৌশলী পিপি এড. মীর্জা হজরত
আলী।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের এড. মোঃ শাহ আলম বলেন, আমরা ন্যায় বিচার
পাইনি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
সরকারী কৌশলী এড. মীর্জা হজরত আলী বলেন, আমরা বাদীপক্ষ ন্যায়
বিচার পেয়ে আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

 

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর